আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলজুড়ে বয়ে যাওয়া প্রবল বজ্রঝড়ে নয়জন নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, বড়দিনের উৎসবের মধ্যে হওয়া এসব ঝড়ের পর থেকে ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ডের হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্সের।
গত ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর রাজ্যগুলোর ওপর দিয়ে প্রবল ঝড় বয়ে যায়। ভারি শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রবল বাতাসের তোড়ে বহু বাড়ির ছাদ উড়ে যায়, বহু গাছ উপড়ে পড়ে।
এক সংবাদ সম্মেলনে কুইন্সল্যান্ড রাজ্য পুলিশের কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল জানান, মোরিটন উপসাগরের গ্রিন দ্বীপের কাছে ১১ জন আরোহীসহ একটি ইয়ট ডুবে যায়। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়।
চলতি মাসের প্রথমদিকে ঘূর্ণিঝড় জ্যাস্পার কুইন্সল্যান্ড উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে আসার পর রাজ্যটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ও বন্যা দেখা দেয়। এরপর আবার মাসের শেষ দিকে রাজ্যটি ঝড়ের কবলে পড়ল।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্বদিকে যখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে তখন পশ্চিমের বেশ কয়েকটি অঞ্চল দাবানলে পুড়ছে। এখানে দাবানল নেভাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক এক দমকলকর্মী মারা যান।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন এল নিনোর প্রভাবে অতি প্রবল বৃষ্টি থেকে শুরু করে দাবানল, ঘূর্ণিঝড় ও দীর্ঘমেয়াদি খরা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকালের দিকে ঝড় কমে আসলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর।
বৃষ্টির পানির ঢলে এক নারী ও ৯ বছর বয়সী এক কিশোরী ভেসে গেছে। পরে তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গাছ উপড়ে পড়ে আরও দুইজন নিহত হয়।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, দ্রুত বাড়তে থাকা নদী ও ঝরনাগুলির পানি পাড় উপচে আশপাশ এলাকা ডুবিয়ে দিতে পারে, এতে বড়দিন ও নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে সেখানে ক্যাম্প করে থাকা বহু মানুষ বিপদে পড়তে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিক্টোরিয়ায় একটি ক্যাম্পগ্রাউন্ড থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এক নারীকে মৃত পাওয়া গেছে।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি এনারজেক্স জানিয়েছে, ঝড়ের পর থেকে রাজ্যটির ৯০ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
শত শত বৈদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে পড়ায় বিতরণ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।