আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পর্নো তারকাকে গোপনে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে নিউ ইয়র্কের আদালতে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মামলা থেকে আপাতত রেহাই পাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের আইনজীবীদের মামলা খারিজ চেয়ে করা আবেদন সোমবার বাতিল করে দিয়েছেন ম্যানহাটন আদালতের বিচারপতি জুয়ান মার্চান। গত মে মাসে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জয়ের পর গত ৩ ডিসেম্বরে ট্রাম্প এ মামলা থেকে তাকে রেহাই দেওয়ার আর্জি জানান। কিন্তু আর্জি বাতিল হওয়ায় ট্রাম্পের এখন অপরাধের দায়মুক্ত হয়ে হোয়াইট হাউজে প্রবেশের একটি পথ বন্ধ হল।
আগামী ২০ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। তার আগে আইনজীবীরা আলাদাভাবে মামলায় ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় প্রত্যাহার করার চেষ্টা করছেন। তবে বিচারপতি মার্চান এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ট্রাম্প। এরপর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যবসায়িক রেকর্ড নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার ৩৪ টি অভিযোগেও আছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
নিউ ইয়র্কে ম্যানহাটনের আদালতে এইসব অভিযোগেই ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন । ২৬ নভেম্বরে তার সাজা ঘোষণা হওয়ারও কথা ছিল।
ট্রাম্প সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাছাড়া, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টও এক আদেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প দায়মুক্তি পাবেন বলে ঘোষণা দেয়।
গত ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর তার আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশের ভিত্তিতে মামলা খারিজের আর্জি জানান।
তাছাড়া, আইনজীবীদের যুক্তি ছিল দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্পের মাথার উপর এ মামলা ঝুলে থাকলে তা তার শাসনকাজে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলের নিঃশর্তে ক্ষমা পাওয়ার কথা তুলে ধরেও আইনজীবীরা একইভাবে ট্রাম্পের মামলা খারিজের আবেদন জানান।
তবে ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ের প্রেক্ষাপটে বিচারপতি মার্চান তার (ট্রাম্প) সাজা ঘোষণার তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছালেও মামলা খারিজ করেননি।
সোমবার ৪১ পাতার আদেশে বিচারপতি বলেন, “ট্রাম্প ব্যক্তিগত কারণে ব্যবসায়িক নথি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে কারণে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া তার কর্তৃত্ব কিংবা কার্যনির্বাহী শাখার কার্যক্রমের জন্য কোনও বিপত্তি ডেকে আনবে না।”
ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এক বিবৃতিতে মার্চানের এই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টের ‘প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তির’ আদেশের সরাসরি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন।”