বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই ২০২৫ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

মৌলিক সংস্কার শেষ করে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ৩১, ২০২৫ ৬:০৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অন্তর্বর্তী সরকারকে অতি দ্রুত মৌলিক সংস্কার শেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিবর্তন করে মনে হচ্ছে নতুন ম্যাজিকাল দেশ করতে চাই। কিন্তু সেখানে জনগণের সমর্থন কতটুকু প্রশ্ন থেকেই যায়।

এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকা আবশ্যক। গণতন্ত্রে কাদা ছোড়াছুড়ি হবে, অনেক কথা আসবে। তবে এর একটি সীমা থাকা দরকার, যা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্ভব।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পারস্পরিক বোঝাপড়া। যদি আমরা দ্রুত এই বোঝাপড়ায় পৌঁছাতে পারি এবং একসঙ্গে অগ্রসর হতে পারি, তাহলে জনগণ এর সুফল পাবে।

সবার উদ্দেশে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হতাশ হবেন না, আশা হারাবেন না। আমরা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সফল হয়েছি। তাই আমি বিশ্বাস করি, এবারও আমরা সফল হবো।

নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবকিছুর পরেও আমরা চলমান সংলাপ কমিশনে ১২টি বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর। বাকি বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা চলছে। আমি আশা করি, সেগুলোও শিগগিরই সমাধান হবে। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনটা হলে এর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

গত ১৫ বছর এবং গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এখনও বেঁচে আছি এবং এই সংগ্রামের মধ্যে আছি, তারা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। এখন আমাদের দায়িত্ব হলো শহীদ ভাইবোনদের পরিবারের কান্না থামানোর জন্য কাজ করা। যদি আমরা তা না পারি, তাহলে সেটা শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।

সর্বশেষ - রাজনীতি