নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর ১১ এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার সময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৩১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার তরা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালের দিকে এসব মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেয়া ১৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, বেশ কয়েকটি স্থানে মিছিলের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কাউকে মিছিল থেকে, আবার কাউকে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো কোনো মিছিলে ৫ থেকে ৩০ জন পর্যন্ত অংশ নিতে দেখা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট ও মতিঝিলের রাজউক ভবনের গলিতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। পল্টন থানা–পুলিশ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে মো. ওয়াসিম (৪০) ও মো. ফয়সাল (৩০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। রাজউক ভবনের গলিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে মো. কায়েস হাসান (২৪) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি অপারেশনস) রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে জন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকার তেজগাঁও এলাকার সাতরাস্তা মোড়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের ১২ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী ৩০–৪০ সেকেন্ডের একটি ঝটিকা মিছিল করেছেন। এ সময় তারা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। বেলা ১১টার একটু পর খিলক্ষেত থানার গলফ ক্লাবের সামনে ৩০ থেকে ৪০ জন ঝটিকা মিছিল করেন। মিছিল থেকে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ছাড়া ধানমন্ডির স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টের সামনে, নিউমার্কেটের বাটা সিগন্যাল, আসাদ গেটের আড়ংয়ের সামনে, যাত্রাবাড়ীর মাল্টিমিডিয়া সিএনজি স্টেশন, শেরেবাংলা নগরের আর্কাইভ ভবনের সামনে, গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে, উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর ও ৮ নম্বর সেক্টরের সামনে মিছিল ও মিছিল করার চেষ্টা করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।